হাতিরঝিল, মগবাজার, খিলগাঁও ও কুড়িল ফ্লাইওভারে স্থানগুলো বেশ নির্জন। এই চক্র নির্জন স্থান দেখে দুই পাশের রেলিংয়ে বেঁধে রাখে নাইলনের সুতা। আর পাশেই ওত পেতে থাকে চক্রের সদস্যরা। চালক মোটরসাইকেলসহ উল্টে পড়ামাত্রই ঘিরে ধরে ছিনতাইকারীরা। এরপর তারা দুর্ঘটনার শিকার হওয়া ব্যক্তির টাকা পয়সা ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয়। এই চক্রের সদস্যদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা না হলে এদের ফাঁদে পড়ে প্রাণহানি ও দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন।

ই চক্রের মরণফাঁদ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, এই ফাঁদ বেশি পাতা হচ্ছে হাতিরঝিল, মগবাজার, খিলগাঁও ও কুড়িল ফ্লাইওভারে। এসব ফ্লাইওভারে বেঁধে রাখা নাইলনের মজবুত সুতার টানে হাত ও গলায় জখম হয়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন অনেকেই।
২৭ আগস্ট রাত ২টা থেকে সোয়া ২টার মধ্যে রাজধানীর শাহজাহানপুরের মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারে অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পাঠাও চালক মো. মিলনকে (৩৬) গলা কেটে হত্যার পর মোটসাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এই সুতা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনার পর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দুটি হাসপাতাল ঘুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। সেখানেই ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়
রাত ২টা থেকে সোয়া ২টার দিকে মালিবাগের পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার বরাবর ফ্লাইওভারের তৃতীয় তলায় ঘটনাটি ঘটেছে। ধারণা করছি, যাত্রীবেশে কোনো ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে মিলনের গলায় আঘাত করে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়
রাজধানীর ফ্লাইওভারগুলোতে সুতার ফাঁদে পুলিশ সদস্যরাও পরেছেন বলে জানা যায়। এক পুলিশ সদস্য জানান, এগুলো যেখানে ঘটে সেখানের ছেলেরা জড়িত থাকে। সুযোগ পেলেই তারা ছিনতাই করে। মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হয়
এক পুলিশ সদস্য জানান, এ ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। এখনো মাঝেমধ্যে ঘটছে। কিন্তু সব সময় আমরা চেষ্টা করছি যাতে কোনো নগরবাসী এমন বিপদের মুখে না পড়ে। এছাড়া নিয়মিত আমাদের টহল পুলিশ ফ্লাইওভারের ওপরে টহল দেয়।
পুলিশ সদস্য জানান,এ ধরনের কাজ করা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। যারা এ ধরনের কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।