একে তো পরপর দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে তার দল। তার ওপর নিজের ব্যাটিংয়ের কারণেও এবারের আইপিএলের শুরু থেকে সমালোচিত ছিলেন ধোনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দুইটি বিষয়ই নিজের পক্ষে আনতে পারতেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
শুধু তাই নয়, শুক্রবারের ম্যাচটিতে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে চারটি রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ধোনি। যেগুলো পূরণ করতে খুব বেশি কিছু করতে হতো না। কিন্তু ম্যাচ যেমন জিততে পারেননি, তেমনি রেকর্ডগুলোও অধরাই রয়ে গেছে ধোনির। হায়দরাবাদের কাছে ৭ রানে হেরে গেছে চেন্নাই, ধোনি ছুঁতে পেরেছেন চার রেকর্ডের মাত্র একটি।

চেন্নাইয়ের ৭ রানের পরাজয়ের ম্যাচে ধোনি অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৪৭ রান করে। দুবাইয়ের অত্যধিক গরমের মাঝে খেলা সংগ্রামী ইনিংসে ৪ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন ১টি ছক্কা। আর মাত্র একটি ছক্কা হলেই তৃতীয় ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৩০০ ছক্কার মালিক হয়ে যেতে পারতেন ধোনি
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কা
১/ ক্রিস গেইল – ১২৫ ম্যাচে ৩২৬ ছক্কা
২/ এবি ডি ভিলিয়ার্স – ১৫৭ ম্যাচে ২১৯ ছক্কা
৩/ মহেন্দ্র সিং ধোনি – ১৯৪ ম্যাচে ২১৩ ছক্কা
৪/ রোহিত শর্মা – ১৯২ ম্যাচে ২০৪ ছক্কা
৫/ সুরেশ রায়না – ১৯৩ ম্যাচে ১৯৪ ছক্কা
ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছক্কা
১/ রোহিত শর্মা – ৩৩২ ম্যাচে ৩৭১ ছক্কা
২/ সুরেশ রায়না – ৩১৯ ম্যাচে ৩১১ ছক্কা
৩/ মহেন্দ্র শিং ধোনি – ৩২১ ম্যাচে ২৯৯ ছক্কা
৪/ বিরাট কোহলি – ২৮৪ ম্যাচে ২৮৬ ছক্কা
৫/ যুবরাজ সিং – ২৩১ ম্যাচে ২৬১ ছক্কা
তিনশ ছক্কার রেকর্ডে পৌঁছতে পারেননি পারেননি ধোনি, আটকে গেছেন ২৯৯-এ। একইদিন যদি ৮টি ছক্কার মার আসত ধোনির ব্যাট থেকে, তাহলে আইপিএলে ছক্কার রেকর্ডে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে পেছনে ফেলে দুই নম্বরে উঠে যেতে পারতেন ভারতের ইতিহাসের সফলতম এ অধিনায়ক। তাও হয়নি। ফলে এখনও ভিলিয়ার্সের চেয়ে ৬টি ছক্কা পেছনে রয়ে গেছেন তিনি।
ব্যাট হাতে ৪৭ রানের ইনিংসের মাধ্যমে আইপিএল ক্যারিয়ারে ৪৫০০ রান পূরণ করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক। ভারতের চতুর্থ এবং সবমিলিয়ে সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ৪৫০০ রানের মালিক হলেন তিনি। চার রেকর্ডের এই একটিই ছুঁতে পেরেছেন তিনি। এছাড়া সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ক্রিস গেইলকে পেছনে ফেলে দিয়েছেন ধোনি।
আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক
১/ বিরাট কোহলি – ১৮০ ম্যাচে ৫৪৩০ রান, সর্বোচ্চ ১১৩
২/ সুরেশ রায়না – ১৯৩ ম্যাচে ৫৩৬৮ রান, সর্বোচ্চ ১০০*
৩/ রোহিত শর্মা – ১৯২ ম্যাচে ৫০৬৮ রান, সর্বোচ্চ ১০৯*
৪/ ডেভিড ওয়ার্নার – ১২৯ ম্যাচে ৪৭৯৩ রান, সর্বোচ্চ ১২৬
৫/ শিখর ধাওয়ান – ১৬২ ম্যাচে ৪৬৪৮ রান, সর্বোচ্চ ৯৭*
৬/ এবি ডি ভিলিয়ার্স – ১৫৭ ম্যাচে ৪৫২৯ রান, সর্বোচ্চ ১৩৩*
৭/ মহেন্দ্র সিং ধোনি – ১৯৪ ম্যাচে ৪৫২৩ রান, সর্বোচ্চ ৮৪*
৮/ ক্রিস গেইল – ১২৫ ম্যাচে ৪৪৮৪ রান, সর্বোচ্চ ১৭৫*
এছাড়া উইকেটরক্ষক হিসেবে যে রেকর্ডের সামনে ছিলেন ধোনি, সেটিও পূরণ হয়নি মাত্র একটি ক্যাচের জন্য। হায়দরাবাদের বিপক্ষে অভিষেক শর্মার ক্যাচ লুফেছিলেন ধোনি। যা তার আইপিএল ক্যারিয়ারের মোট সংখ্যাকে নিয়েছে ৯৯-এ। আর মাত্র একটি ক্যাচ ধরলেই দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে আইপিএলে ক্যাচের সেঞ্চুরি করবেন ধোনি।

আইপিএলে উইকেটরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ ক্যাচ
১/ দীনেশ কার্তিক – ১৮৫ ম্যাচে ১০৩ ক্যাচ
২/ মহেন্দ্র সিং ধোনি – ১৯৪ ম্যাচে ৯৯ ক্যাচ
৩/ পার্থিব প্যাটেল – ১৩৯ ম্যাচে ৬৬ ক্যাচ
৪/ নামান ওঝা – ১১৩ ম্যাচে ৬৫ ক্যাচ
৫/ রবিন উথাপ্পা – ১৮০ ম্যাচে ৫৮ ক্যাচ
এই চার রেকর্ডের বাইরে অন্য আরেকটি রেকর্ড ঠিকই গড়েছেন ধোনি। আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ক্রিকেটার এখন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। নিজ দলের সতীর্থ খেলোয়াড় সুরেশ রায়নার ১৯৩ ম্যাচ খেলার রেকর্ডকে পেছনে ফেলে ধোনির আইপিএল ক্যারিয়ারের ম্যাচসংখ্যা এখন ১৯৪