এককোষী মুক্তজীবী এই প্রাণীটি মানুষের শরীরে ঢুকতে পারলে মস্তিষ্ক ধ্বংস করে দেয়। এই অণুজীব বা অ্যামিবা সাধারণত মানুষের নাক দিয়ে ঢোকা পানির মাধ্যমে মস্তিষ্কে সংক্রমণ ঘটায়। এতে সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। এতে সংক্রমিত ব্যক্তির মৃত্যুও হতে পারে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরে এসব তথ্য দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, টেক্সাসের পানিতে অ্যামিবার সন্ধান পাওয়ার পর সেখানকার লেক জ্যাকশন, ফ্রিপোর্ট, এনগ্লিটন, ব্রাজোরিয়া, রিচউড, ওস্টার ক্রেক, ক্লুট, রোজেনবার্গ শহরে এ্ররইমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৩৪ জন নায়েগ্লেরিয়া ফাওলেরির সংক্রমণের শিকার হয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা-সিডিসি জানায়, নায়েগ্লেরিয়া ফাওলেরি পৃথিবীর অনেক দেশেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে স্বচ্ছ পানি থেকে এর সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।
টেক্সাসের আটটি শহরের লোকজনকে টয়লেটের ফ্ল্যাশ ছাড়া কোনো কাজে ট্যাপের পানি ব্যবহার করতে মানা করা হয়। শনিবার শুধু লেক জ্যাকসন বাদে বাকিদের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। পানি ব্যবহারের উপযুক্ত করার আগ পর্যন্ত এখানে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
দ্য টেক্সাস কমিশন অন এনভায়রনমেন্টাল কোয়ালিটি থেকে বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবাইকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পানিতে অ্যামিবা পাওয়া গেছে। যা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে
বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনোভাবে পানির মাধ্যমে এই অণুজীব গিলে ফেললে ততটা ক্ষতি হয় না। তবে কোনোভাবে নাক দিয়ে যদি শরীরে প্রবেশ করে, তাহলেই এরা ভয়ংকর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশির খিঁচুনি দিয়ে উপসর্গ শুরু হয়। দ্রুত অ্যান্টিফাঙ্গাল ড্রাগ না দিলে মস্তিষ্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে এটি। আক্রান্তদের বেশির ভাগই এক সপ্তাহের মধ্যে মারা যায়। উপসর্গ দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন