এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের তেলেঙ্গনার হুজুরাবাদ জেলায়। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, এ বিষয়টি জানাজানি হতেই ১০০ তে ফোন করে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশি তদন্তে শিশুটির নানী কানখাম্মা স্বীকার করেন তিনি নাতনীকে বিক্রি করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চার বছর আগে মেয়ে পদ্মার বিয়ে হয়। কিন্তু জামাই অন্য ধর্মের হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে মনোমালিন্য ছিল। কয়েকদিন আগে স্বামী এবং এক মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন পদ্মা। বাড়িতে আসার পরে মায়ের সঙ্গে অশান্তি হয়। তারপরেই নিখোঁজ হয়ে যায় পদ্মার সন্তান। প্রাথমিক অনুমান, অশান্তির জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ হন কানখাম্মা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে পেদ্দাপল্লি জেলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কানখাম্মার পাশাপাশি যে শিশুটিকে কিনেছিল তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশকে ১০০ ডায়ালে ফোন করে শিশুটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানান অভিযুক্তে প্রতিবেশীরা। এরপর পুলিশ এলে পদ্মাই জানান তার মূল সন্দেহ মায়ের উপরেই। এরপরেই পুলিশ কানখাম্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় প্রতিশোধ নিয়ে নাতনীকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এরপর পুলিশি তল্লাশিতে উদ্ধার হয়