অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি আপনাকে শুধু বিব্রতই করেনা, এটা আপনার জন্য ক্ষতিকর। এছারাও আপনার বিশাল পেট অনেকের কাছে আপনাকে হাসির পাত্র করে তুলে। দীর্ঘ সময় বসে বসে কাজ করা, দৈহিক পরিশ্রম কম হওয়ার কারণে পেটে মেদ জমতে থাকে।এমন অনেক খাবার আছে, যা মেদ কমায় এবং স্বাস্থ্যকর। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় এগুলো রাখতে পারেন।

‘ফল ও সবজি
শাক সবজি এবং ফলমূলে প্রচুর ফাইবার থাকে যা কোলেস্টেরল ও পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। খাদ্য আঁশ বা ফাইবার চর্বিকণাকে বেঁধে ফেলে এবং মলমূত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেয়। এছাড়া ফল ও সবজিতে আঁশজাতীয় উপাদান বেশি থাকার কারণে ক্ষুধার অনুভূতি হ্রাস করে। এ বিশেষ কয়েকটি কারণেই পেটের মেদ কমাতে ফল ও সবজি কাজ করে থাকে’
‘গ্রিন টি বা সবুজ চা
গ্রিন টি পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। সবুজ চায়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের প্রাচুর্য পরোক্ষভাবে অতিরিক্ত চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন অন্তত ৩ ..কাপ গ্রিন টি শরীর থেকে সর্বোচ্চ ৭০ ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলতে পারবে’
‘বাদাম ও অলিভ অয়েল
বাদাম ও দানাজাতীয় খাবার থেকে যে ফ্যাট পাওয়া যায় তাকে বলা হয় ‘মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট’। এই ফ্যাট রক্ত থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ত্বক ও অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দেখভাল করে পাশাপাশি মেটাবলিক রেট বাড়ায়, যা পেটের চর্বি হ্রাসে ভূমিকা রাখে’
‘আঁশজাতীয় খাবার
আঁশজাতীয় খাবার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, ইনসুলিন রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা রাখার ‘প্রবণতা কমাতে আঁশজাতীয় খাবারের জুড়ি মেলা ভার।’
‘সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা পেটের মেদ বৃদ্ধিতে দায়ী চর্বিকে পোড়াতে এবং শরীরে ভালো চর্বির পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। বাদাম ও জলপাই তেলের মতো সামুদ্রিক মাছের ফ্যাটও ওজন হ্রাসে ভূমিকা রাখে।’
‘আপেল
আপেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ফাইবার পেটে সহজে মেদ জমতে দেয় না। এতে মিনারেল আর ভিটামিনও আছে ক্যালরিও থাকে খুবই কম। তাই মেদ কমানোর জন্য প্রতিদিন একটা আপেল খেতে পারেন।’
‘পেয়ারা ও আমলকী
পেয়ারা এবং আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ এবং ফাইবার থাকে যা অতিরিক্ত চর্বি কমানো ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।’
‘টক দই
পেটের মেদ কমাতে টক দইয়ের উপকার বলে শেষ করা যাবেনা। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন অন্তত এক বাটি টক দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তা ছাড়া হজমেও দই অনেক সাহায্য করে।’
‘ওটমিল
পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে পারে ওটমিল। তাই অল্প একটু খেলে অনেকক্ষণ আর কিছু খেতে ইচ্ছা করে না। হজমে সহায়তা করে আর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এতে দ্রুত পেটের মেদ কমতে শুরু করে।’
এ’ছাড়াও প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করবেন কারণ শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে পানির ভূমিকা অসাধারণ। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি ওজন হ্রাসে সরাসরি ভূমিকা রাখে’।