চুয়াডাঙ্গা’য় বিয়ের দুই মাসের মাথায় এক নববধূ সন্তানের জন্ম দেওয়ায় এলাকায় চা’ঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার স্বামীর বাড়িতে ওই নববধূ শনিবার রাতে ছেলেসন্তান প্রসব করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বামী তাকে গত’কাল রোববার দুপুরে তালা’ক দিয়েছেন।সদ্য’জাত ছেলে’কে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে’ছে। মা ও শিশুটি সুস্থ আছে। তবে এ ঘটনায় অভি’যুক্ত যুবক আশিক গা-ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

অপরদিকে, রো’ববার দুপুরে স্বামী চু’য়াডাঙ্গা সদর হাসপা’তাল চত্বরে এসে কাজির মাধ্যমে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।পা’রিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভিমরুল্লা গ্রামে’র পুরাতন মসজি’দপাড়ার আবদুল আলীমের ছেলে মোস্তাকিমের সঙ্গে গত ২ মাস ১০ দিন আগে আল’মডাঙ্গা উপজেলার এক মেয়ের বিয়ে হয়। শনি’বার রাতে স্বামীর বা’ড়িতে অবস্থান কর’ছিল ওই গৃহবধূ। রাত ১১টার দিকে প্রকৃতি’র ডাকে সাড়া দিতে গেলে সেখানেই একটি পুত্রসন্তান প্রসব করেন তিনি। এ নিয়ে এ’লাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রোববার সকালে মা সোনালী খাতুন ও সদ্যভূমিষ্ঠ নবজাতক’কে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতা’লে ভর্তি করা হয়।স্বামী মোস্তা’কিমের পরিবারে’র লোকজন বলেন, বিয়ের সময় আমরা কোনোভাবেই বুঝতে পারিনি মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল।গৃহবধূ
বলেন, আমাদের গ্রামের’ হারুনের ছেলে আশিক (২০) একদিন কিছু একটা দেখানোর জন্য তার ঘরে যেতে বলে। আমি সে’খানে গেলে আশিক আমার সঙ্গে মেলামেশা করে। এ ঘটনা কাউকে না জা’নানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে সে। পরে লোকল’জ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে আমি জানাইনি। আমার স্বামী গতকাল (রোববার)
দুপুরে জোরপূর্বক আমার স্বা’ক্ষর নিয়ে তালাক দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন’, তালাক দিলেও এখনও আমি দেনমোহরে’র টাকা পাইনি। তবে আমি আ’মার সন্তানের স্বী’কৃতি চাই। আশিকই আমার সন্তানের জন্ম’দাতা।

স্বামী মোস্তাকিম বলেন, বিয়ের পর আমার স্ত্রী আমাকে নানা ছলেছু’তায় এড়িয়ে চলত। তাই আমার পক্ষে বিষয়টি বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি।এ বিষয়ে চু’য়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জা’হিদুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত যুবক আশিকের’ বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
rtvonlinenews