সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মাছের আড়তে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিভিন্ন হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে সরকারীভারে নিষিদ্ধ মাছ“পিরানহা”। হাট-বাজারসমূহে হাটবার এমন কি কোন কোন বাজারে প্রতি দিনই নিষিদ্ধ পিরানহা মাছগুলোকে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করা হলেও স্থানীয় মৎস্য বিভাগের নেই কোন মাথা ব্যাথা। সরকার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর পিরানহা মাছকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করলেও সরকারের মৎস্য বিভাগের উদাসীনতা অথবা দায়ীত্বে অবহেলা নয়তো নগত নারায়নের বিনিময়ে অবাধে চলছে পিরানহা মাছের চাষও বিক্রি। জানা যায়. পিরানহা মাছ খুবই রাক্ষুসে মাছ। তাই যেখানে এই মাছের চাষ করা হয় সেখানে অন্য কোন মাছের চাষও করা যায় না। অথচ নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও এক শ্রেনীর মাছ ব্যবসায়ী স্থানীয় মৎস্য বিভাগের কোন প্রকার তদারকী না থাকার সুযোগে বরং বলতে গেলে তাদের ছত্রছায়ায়ই এ সব নিষিদ্ধ ঘোষিত পিরানহা মাছ কে রূপচাঁদা মাছ বলে বিক্রি করে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার রূপচাঁদা বলে বিক্রি করা এ সব পিরানহা মাছের দাম অন্য মাছের চেয়ে তুলনামূলক কম হওয়ায় সাধারণ মানুষ তা দেদার কিনে নিয়ে যাচ্ছে। ক’জন পিরানহা মাছ বিক্রেতার সাথে আলাপকালে তারা বলেন- মাছ খেয়ে ক্ষতি, না লাভ হয়, তা আমাদের দেখার বিষয় নয়
সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মাছের আড়তে ভেজাল বিরোধী অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়েছে।সারওয়ার আলম জানান, ভেজালবিরোধী ধারাবাহিক অভিযানের অংশ হিসেবে কারওয়ান বাজারে এ অভিযান চালানো হচ্ছে.
এ অবস্থায় নিষিদ্ধ পিরানহা ও আফ্রিকান মাগুর মাছ ক্রয়-বিক্রয় নিরুৎসাহিত করতে দরকার হাটবাজারে, গণমাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা করা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা নিষিদ্ধ মাছ চাষ, বিক্রি ও সংরক্ষণ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি