,,মেসিকে নিয়ে ৩৬ বছর আগে ফেরত যেতে চান তাঁরা। সম্ভাবনাটা খুব ক্ষীণ হলেও দাবিটা কিন্তু ঠিকই জানিয়ে দিয়েছেন ক্লাব সমর্থকেরা। তাঁদের চাওয়া, মেসি আরেক ‘ম্যারাডোনা’ হয়ে আসবেন, নতুন ইতিহাস গড়বেন, প্রিয় ক্লাবকে নিয়ে যাবেন অন্য উচ্চতায়।

নাপোলির কথাই বলা হচ্ছে। ইতালির সিরি ‘আ’র এই ক্লাব ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে পারবে কিনা, সেটা সময়ই বলে দেবে, কিন্তু আপাতত ক্লাব সমর্থকেরা খুব করেই চান মেসি যেন তাদের আকাশি জার্সিটা গায়ে তোলেন। গতকাল নেপলসে এক দল সমর্থক রীতিমতো স্লোগান দিয়েই নিজেদের দাবিটা তুলে ধরেছেন ক্লাব সভাপতি অরেলিও ডি লরেনাইটিসের কাছে। তাঁরা চান ১৯৮৪ সালে বার্সেলোনা থেকে যেভাবে ম্যারাডোনাকে নিয়ে আসা হয়েছিল, মেসিকে যেন ঠিক সেভাবেই নিয়ে আসে নাপোলি।

ডিয়েগো ম্যারাডোনার যেন পুনর্জন্ম হয়েছিল নাপোলিতে। মেসির মতোই বার্সেলোনায় নিজের মানসিক শান্তিটা হারিয়ে বসেছিলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তখন নাপোলি তাঁকে দলবদলের রেকর্ড গড়েই নিয়ে আসে। তিনি ফিরে পান স্বস্তি।
মানসিকভাবে চাঙা ম্যারাডোনা যে কী, সেটি আশির দশকের মধ্যভাগ থেকে শেষভাগ পর্যন্ত অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করেছিল ফুটবলপ্রেমীরা। নিজেদের ইতিহাসে তেমন কিছু না জিততে পারা নাপোলিকেই ম্যারাডোনা প্রথমবারের মতো জিতিয়েছিলেন সিরি ‘আ’, কোপা ইতালিয়া আর উয়েফা কাপের শিরোপা। শুধু তা-ই নয়, অনেকেই বলেন, নাপোলির হয়ে ম্যারাডোনা নিজেকে পরিপূর্ণভাবে মেলে ধরতে পেরেছিলেন, সে পথ ধরেই ১৯৮৬ সালে তিনি তাঁর দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে পেরেছিলেন। ১৯৯০ বিশ্বকাপেও শিরোপাজয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন আর্জেন্টিনাকে

কাল হঠাৎ করেই নাপোলি সমর্থকেরা সভাপতি লরেনাইটিসকে ঘিরে ধরলেন। ‘মেসিকে আনো’ ‘মেসিকে আনো’ স্লোগানে মুখরিত হলো চারপাশ। সভাপতি অবশ্য এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি। স্মিতহাস্যে এড়িয়ে পেরিয়ে গেছেন সমর্থকদের সমাবেশ। মেসিকে দলে নিতে ৭০ কোটি রিলিজ ক্লজের ব্যাপারটিই হয়তো ঠিক ওই মুহূর্তে মাথায় খেলছিল নাপোলি,,