গ্রিন হাউস গ্যাস পৃথিবীতে যেমন সুবিধা বয়ে আনে, তামনি গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ পৃথিবীতে না কমে, তাহলে এই উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
যদি সঠিক সময়ে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ পৃথিবীতে না কমে, তাহলে এই উষ্ণতা বৃদ্ধির হার কেউ আটকাতে পারবে না। তাঁরা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে নিচে খুঁড়ে একটি জীবাশ্ম বের করে সেই ফসলের নানা গবেষণা করে দেখেছেন যে ডাইনোসরের সময় কি রকম পৃথিবীতে উষ্ণতা ছিল এবং তারপর কিভাবে ধীরে ধীরে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা দেখেছেন যে এখনও পর্যন্ত পৃথিবী মোট চার রকম ভাগে আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখেছে। তার মধ্যে রয়েছে ‘হট হাউস’, ‘ওয়ার্ম হাউস’ ‘কুল হাউজ’ ও ‘আইস হাউস’
পৃথিবী এতদিন ধরে রায় আইস হাউজ স্তরে ছিল, তারপর ধীরে ধীরে গ্রিনহাউস গ্যাসের বহির্গমন বৃদ্ধি পাওয়ায় এটি ওয়ার্ম হাউজ–এ পরিণত হয়েছে এবং এর এখনও যদি আরও গ্রিনহাউস গ্যাসের বহির্গমন চলতে থাকে তাহলে ধীরে ধীরে হট হাউসে পরিণত হবে এবং উষ্ণতা প্রবলভাবে বৃদ্ধি পাবে যেটা ৩৪ মিলিয়ন বছর আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল
এ ক্ষেত্রে গড়ে উষ্ণতা তা বৃদ্ধি পেতে পারে ১৬ ডিগ্রি থেকে ২৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত অর্থাৎ কিনা ৯ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। তাঁরা জানিয়েছেন যে, বর্তমানে যে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষেত্র থেকে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হয় তা যদি সমান ভাবে চলতে থাকে তাহলে এক শতক অর্থাৎ ২৩০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর উষ্ণতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে, গত পাঁচ কোটি বছর এই পৃথিবী দেখেনি তারা। তবে হতাস হবার কারন নেই।
এ ক্ষেত্রে বর্তমান আবহাওয়ার থেকে একেবারে বদলে যেতে পারে পরবর্তীকালের আবহাওয়া। যাকে বলে আমূল পরিবর্তন। সে ক্ষেত্রে উষ্ণতার প্রভাব বৃদ্ধি হতে পারে এবং এই ক্লাইমেট চেঞ্জ–এর কারণে আবহাওয়ার পরিবর্তনের মতো এই পরিবর্তন হবে না।