[ভাসানচরের অবকাঠামো ও সামগ্রিক পরিবেশ দেখে মুগ্ধ রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা.রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্প দেখতে ৪০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল ভাসানচরে রয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা ভাসানচরের আবাসন গৃহসমূহের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছেন।]
[৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া থেকে তারা চট্টগ্রাম পৌঁছান। সেখান থেকে সমুদ্রপথে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে সন্ধ্যায় ভাসানচরে পৌঁছান। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ৪০ জন রোহিঙ্গা নেতা ভাসানচরের অবস্থা ও পরিবেশ এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে যান। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর তাদের ফিরে আসার কথা রয়েছে। সরকারের আশা, রোহিঙ্গা নেতারা দেখে এসে অন্যদের বোঝালে তারা ভাসানচর যেতে রাজি হবেন রোহিঙ্গারা]

[প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য মোহাম্মদ হারুন তিনি মোবাইল ফোনে আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জানান, ভাসানচরের আবাসন প্রকল্প তার খুব ভালো লেগেছে। এখানে মসজিদ, বাচ্চাদের জন্য স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, খেলার মাঠ ছাড়াও প্রতিটি আবাসন প্রকল্পের ভেতর পুকুর রয়েছে। হারুন জানান, সাগরের মাঝে পুকুরের পানি খুবই সুস্বাদু, পরিবেশ দেখে সন্তুষ্ট।]
রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ভাসানচরের আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করানো একটি মোটিভেশনাল কার্যক্রম। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) সূত্র জানিয়েছে, ভাসানচরে গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্প পরিস্থিতি অবহিত করার জন্য রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরের বাছাই করা ৪০ ব্যক্তিকে এখানে পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সরেজমিনে ভাসানচর আবাসন প্রকল্প পরিদর্শন করে সেখানে থাকা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে অবহিত হবেন]
[বর্তমানে কক্সবাজারের ক্যাম্পসমূহে কমপক্ষে ১০ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি ক্যাম্পে তারা নানাধরনের রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ঘরবসতিপূর্ণ হওয়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের অপরাধচক্র সেখানে অধিপত্য বিস্তার করছে। এসব কারণে রোহিঙ্গাদের তুলনামূলক ভালো আবাসনে স্থানান্তর প্রয়োজন বলে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় জানানো হয়েছে]
[ভাসানচর পরিদর্শনশেষে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সদস্যরা যদি ক্যাম্পে থাকা অন্য রোহিঙ্গাদের ভাসানচর সম্পর্কিত ধারণা দিয়ে রাজি করাতে পারে তখন যেকোনো সময় তাদের ভাসানচরে পাঠানো হবে। সেখানে কক্সবাজারের চেয়েও অনেক ভালোভাবে তারা বসবাস করতে পারবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ]