তাস্কিন আহ্মেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের একজন অন্যতম ফাস্ট বোলার, সাকিব-মাশরাফীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই, মানসিকতা পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন তাসকিন আহমেদ। লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিংয়ের.স্বপ্নাতুর চোখে তাকিয়ে ছিলেন ট্রফির দিকে। তাসকিন আহমেদ শোনালেন তাঁর স্বপ্নের কথাও।
নিকট ভবি’ষ্যতে নতুন আর কী কী যোগ করতে চান বোলিংয়ে
তাসকিন: গতির সঙ্গে কখনোই আপ’স নয়। গতি আরও বাড়াতে হবে, কমানো যাবে না। আমা’র স্বপ্ন, একদিন ১৫০ কিলোমি’টার গতিতে বল করতে চাই। এখনই ১৪০ কিমির আশপা’শে বল করছি, দু-একটি ডেলিভারি ১৪৪-১৪৫ হয়ে যায়’তাহলে ১৫০ কেন পারব না.
বিপিএলে ভালো করলেও, ইনজুরির কারণে ছিটকে পড়েন। পুনর্বাসনে অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠা পেসার আশায় ছিলেন, ২০১৯ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা করে নেয়ার। কিন্তু, ইংল্যান্ডের ফ্লাইটে ওঠা হয়নি।
বিশ্বকাপের দলে জায়গা না পেয়ে গণমাধ্যমের সামনে কেঁদেছিলেন। ভেঙে পড়েছিলেন। তবে ফেরার আকুতি ছিল তীব্র। অনুপ্রেরণা খুঁজতে বেশিদূর যাননি।

পেসা’রদের ইনজুরি হবেই। একই সঙ্গে বলব, বিসিবি আমার খুব ভালো যত্ন নেওয়ায় এর প্রতি’দান দিতে চাই। একদিন দলের সব’চেয়ে ফিট ক্রিকেটার হব ইনশাল্লাহ।
করোনা মহামা’রিতে বিপন্ন জীবন। কিন্তু, একদিক থেকে চিন্তা করলে তাসকিনের জন্য এটা সুযোগই হয়ে এসেছে। করোনার কারণে জাতীয় দলের সব খেলা স্থগিত হওয়াতেই তো বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ আয়ো’জন করলো। সেখানেই তো নতুন করে নিজেকে চেনা’লেন এই পেসার।
তাসকিন, সবকিছু নিয়েই কথা হয়। আমাকে সব সময় বলেন কোনটা করা উচিত, কোনটা নয়। নিজের ভুল থেকে আমাকে সাবধান করেন। মাঠের বাইরে চলাফেরা, লাইফস্টাইল—সব ব্যাপারেই মাশরাফি ভাই আমাকে নিজের ভাইয়ের মতো পরামর্শ দেন.
বাংলাদেশকে বিশ্বসেরার কাতারে দেখার স্বপ্ন আছে। নিজে বিশ্বের এক নম্বর বোলার হতে চাই। বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার হয়েও যে সেটা সম্ভব, দেখিয়ে দিতে চাই.চেইঞ্জগুলো আমার অনেক কাজে লেগেছে। মাঝে আমার পেস কমে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে সেটা ঠিক হচ্ছে। আমি সর্বোচ্চ ১৪৮ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছি। লক্ষ্য আছে, ক্যারিয়ারে একবার হলেও ১৫০ কিলোমিটার গতি তুলবো। সে অনুযায়ী আমি ট্রেইনিং প্ল্যান সাজিয়েছি। ব্যক্তিগত ট্রেইনার, মাইন্ড ট্রেইনার, পুষ্টিবিদ আর স্যাররা হেল্প করছেন